আমাদের কথা ⚟
বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হওয়ার লক্ষ্যে দারিদ্র্য দূরীকরণে অনুন্নয়ন, বেকারত্ব এবং নিম্ন আয় বাংলাদেশের জন্য গু্রুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এ দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬.৬১% লোক গ্রামে বসবাস করে। এই গ্রাম অঞ্চলের জনগণ এখনো জীবন-জীবিকা এবংউন্নয়নের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কাজেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গ্রামীণ মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে পল্লী জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি ও ভিশন-২০৪১ অনুযায়ী উন্নত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন দারিদ্র্য বিমোচনমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকান্ডে গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র পরিবারের আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে অর্থের চাহিদা একটি চলমান বাস্তবতা।এজন্য ক্ষুদ্র ঋণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।বর্তমানে ক্ষুদ্র ঋণের চাহিদার ক্রমহ্রাসমানতার পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ (SME) চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা সর্বজন স্বীকৃত যে, গ্রামের জনগণকে আয় উৎসারী কার্যক্রমে যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তার মাধ্যমে তাঁদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা প্রয়োজন।
কৃষি ও অকৃষি ক্ষেত্রে টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন প্রচেষ্টায় সহায়তা দানের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্তৃক দেশের ৫টি বিভাগের ২৩টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় জুলাই, ১৯৯৮ হতে জুন, ২০০৭ মেয়াদে “পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-১ম পর্যায়” সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের কার্যক্রম জুলাই, ২০০৭ থেকে জুন, ২০১২ মেয়াদে সমাপ্ত প্রকল্পের আদলে নিজস্ব আয় দ্বারা কর্মসূচি হিসেবে পরিচালিত হয়। জুলাই, ২০১২ থেকে জুন, ২০১৮ মেয়াদে “পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-২য় পর্যায়” দেশের ০৭টি বিভাগের ৪২টি জেলার ১৯০টি উপজেলায় “পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-২য় পর্যায়” গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষে জুলাই/২০১৮ হতে জুন/২০২১ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পুণরায় কর্মসূচি আকারে পরিচালিত হয়।
কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের পরিপ্রেক্ষিতে “পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-3য় পর্যায়” সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত হয়। গ্রামীণ দরিদ্র নারী ও পুরুষদের টেকসই দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রমের জন্য মূলধন সহায়তা প্রদান করে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বার্ষিক জিডিপিতে অবদান এবং ভিশন-2041 বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখা “পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-3য় পর্যায়” এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস